আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার দেশটিতে আল-কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের উত্থান ঘটাবে এমন আশঙ্কা ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে। পশ্চিমা নি...
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার দেশটিতে আল-কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের উত্থান ঘটাবে এমন আশঙ্কা ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে। পশ্চিমা নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনছেন। এরফলে কার্যত আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে ছেড়ে দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আফগানিস্তানে তালেবান বাহিনী একের পর এক জেলায় হামলা চালিয়ে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে। মনোবল হারানো সরকারি সেনারা তাদের ঘাঁটি ছেড়ে হয় পালাচ্ছে, নয়তো আত্মসমর্পণ করছে। এসব ঘাঁটি এখন তালেবান বাহিনীর দখলে। বিদেশি সেনারা আফগানিস্তানে না থাকলে, দেশটির ক্ষমতা দখল তালেবানের জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।ফলে সেখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রত্যাবর্তন দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
১৯৯৬ সাল হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত কঠোরভাবে যারা আফগানিস্তান শাসন করেছে, সেই তালেবানই কোন না কোন চেহারায় ফিরে আসতে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের একটা বিরাট অংশজুড়ে তালেবান এরই মধ্যে নিজেদের এক শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই অবস্থায়, আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট নির্বিঘ্নে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে। সংগঠন দুটি আগে থেকেই আফগানিস্তানে সক্রিয়।
যেসব বিশেষজ্ঞ আফগানিস্তানে চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপারে বহুদিন ধরে গবেষণা করছেন তারা বলছেন, তালেবান থেকে আল-কায়েদাকে আলাদা করা যাবে না। এদের মধ্যে মধ্যে অনেক অভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। আল-কায়েদার কুখ্যাত নেতা ওসামা বিন লাদেন ১৯৯৬ সালে তার ঘাঁটি সুদান হতে আফগানিস্তানে নিয়ে যান। তালেবান যতদিন ক্ষমতায় ছিল তাকে আফগানিস্তানে নিরাপদ আশ্রয় দেয়া হয়েছিল। আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে মাত্র তিনটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল। তার একটি ছিল সৌদি আরব। সৌদি আরবও বিন লাদেনকে তাদের হাতে তুলে দিতে তালেবান সরকারকে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু তালেবান তাতে রাজি হয়নি।
তবে বৃটেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যার নিক কার্টার বলেন, তালেবানের বর্তমান নেতৃত্ব তাদের অতীতের ভুল হতে শিক্ষা নিয়েছে। তারা ভাল করেই জানে, তারা যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে আর আগের মতো আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে থাকা যাবে না। তালেবান নেতাদের মধ্যে যারা বিচক্ষণ তারা উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখেন। বিশেষ করে যারা কাতারে শান্তি আলোচনা চলার সময় সেখানকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং মলে ভালো জীবনের স্বাদ পেয়েছেন, তারা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কে পুরোপুরি ছেদ ঘটাতে চাইবেন। কিন্তু তালেবানের অধীনে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার যে অবস্থা হবে তাতে আল-কায়েদা বা ইসলামিক স্টেটকে থামানো অসম্ভব প্রায়।
Source: BBC
Its a logistic method of publishing news..
ReplyDelete